আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, সংবিধানে কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। নির্বাচনকালীন কতজন মন্ত্রীর প্রয়োজন হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনকালীন তার কতজন মন্ত্রী প্রয়োজন। যদি তার সবার প্রয়োজন হয়, তাহলে সবাই থাকবেন, আর যদি তিনি মনে করেন ছোট আকারে, করতে পারেন। এটি তার সিদ্ধান্ত। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
চলতি মাসে সংসদের অধিবেশনে কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন পাসের পাশাপাশি সব কিছু আলোচনা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০২৩-এর খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের সংশোধনীর বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কিছু বক্তব্য আছে, সেগুলো নিয়ে তারা এসেছিলেন। কিছু ব্যাপারে সমাধান করা হয়েছে। যেগুলো ব্যাখ্যা দেয়া দরকার, তা দেয়া হয়েছে। আর কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হওয়া প্রয়োজন। সেসব নিয়ে ২২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে আবার সভা হবে।
আনিসুল হক বলেন, পূর্বে গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, যে আস্তে আস্তে এই শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে।
আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি।
এছাড়া কিছু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। মূল কথা হচ্ছে তারা-শ্রমিকদের স্ট্রাইক করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদ- বা আইএলও’র মানদ- অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী দরকার। সংবিধান তাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে, এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
২২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের শেষ অধিবেশন সম্পর্কে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ এই অধিবেশনে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রয়োজন। যদি তার সবাইকে প্রয়োজন হয়, সবাই থাকবেন। আর যদি তিনি মনে করেন তিনি ছোট আকারে করতে পারেন সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
Tag: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক,র্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই,নিয়োগের তারিখ মন্ত্রণালয়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্রম ছবি,খিলগাঁওয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার,শেষ ভরসা অর্থবহ সংলাপ চায় সবাই,আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার,সরকারকে শেষবারের মত বার্তা দিতে চায় বিএনপি,ভোটের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করল ইসি,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন,মন্ত্রিপরিষদ সদস্য সদস্যদের নাম দপ্তর শেখ হাসিনা,বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী,ঢাকা মহানগর পুলিশ মিডিয়া ডিসি মাসুদুর রহমান,টানা নয় দিন ধরে চলছে,মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী,মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন,আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের,শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার শপথ গ্রহণ